বাড়ী বানানোর জন্য ইট তৈরী করছি নাকি পরিবেশটাকে ধংস করছি?

পৃথিবীটাকে ধংসের মুখে এনে দাড় করিয়েছি আমরা।পৃথিবী বাচতে চায় ঘুরে দাড়াতে চায়। এখন ও সময় আছে এই ধংসের মুখ থেকে আমরা ফিরে আসতে পারি। শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশটাকে বাচিয়ে রাখলে আমরাও বেচে থাকতে পারব।

নগরায়নের নামে আমরা যে কংক্রীট বনাঞ্চল বানাচ্ছি তার জন্য প্রাকৃতিক বনভূমি উজাড় করছি,উর্বর কৃষি জমি ধংস করছি।
ইট পোড়ানো কালো ধোয়ায় আর পোড়া ইটের গন্ধে পরিবেশ তার সাৈন্দর্য্য হারাচ্ছে। এ জন্য প্রকৃতি এখন চড়াও হচ্ছে আমাদের উপর। প্রকৃতি যে কোন মূল্যে তার নিজের জায়গা ধরে রাখবেই।

এখন সময় এসেছে সচেতন হওয়ার। প্রকৃতিকে বাচাই আর আমরা নিজেরাও টিকে থাকি এই পৃথিবীতে আর ও অনেকদিন।
নগরায়ন করতে হবে কিন্তুু সেটা প্রকৃতিকে ধংস করে নয়। নগরায়নের জন্য পোড়া ইটের বিকল্প চিন্তা করতে হবে। ইটের ভাটা প্রাকৃতিক দূষনের একটা অন্যতম কারন।
আধুনিক বিশ্বায়নের এই সময় উন্নত বিশ্ব যখন পোড়া ইটের ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসচ্ছে তখন ইট পোড়ানোর নামে আমরা প্রকৃতিকে পুড়িয়ে মারচ্ছি। উন্নত বিশ্বে এখন লাল ইটের পরিবর্তে কংক্রীট ব্লকের ব্যবহার বড়ছে। যেটা একদিকে পরিবেশ বান্ধব অন্যদিকে সশ্রয়ী ও বটে।
একটু চিন্তা করে দেখি আমরা যখন কাচা বাড়ীতে থাকতাম আমাদের আশপাশ কত সবুজ সতেজ ছিল। যখন থেকে আমরা আধুনিক হওয়া শুরু করলাম, আধুনিক হওয়ার নামে পাকা বাড়ী বানান শুরু করলাম তখন থেকে কৃষি জমি ধংস করা শুরু করলাম, বনভূমি উজাড় করা শুরু করলাম আর তখন থেকে সবুজ প্রকৃতিটা ও পুড়ে লাল হতে থাকল।

এখন আসি তাহলে বিকল্পটা কি?


ইট:
ইট তৈরীর জন্য উর্বর কৃষি জমির মাটি ব্যবহার করছি। আর সেই ইট পোড়ানোর জন্য সবুজ বনভূমি ধংস করে কাঠ পোড়াচ্ছি।একদিকে কৃষিজমি অন্যদিকে সবুজ বনভূমি ধংস করে আমরা নগরায়ন করচ্ছি। যেখানে ইটের ভাটা থাকে তার আশেপাশের কৃষিজমি ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়, উর্বরতা হারায়।

কংক্রীট ব্লক তৈরীতে মাটি লাগে না তাই উর্বর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্থ হয় না। এটা পোড়াতে হয় না তাই বনভুমি ও উজাড় করা লাগে না।
কংক্রীট ব্লক তৈরীর জন্য ব্যবহার করা হয় সিমেন্ট বালু এবং পানি যা সম্পূর্ন পরিবেশ বান্ধব। এটা তৈরী করার জন্য অনেক জায়গার ও প্রয়োজন হয় না তাই কৃষি জমি ও লাগে না।
এটা খুব অল্প জায়গায় এমন কি যেখানে বিল্ডিং তৈরী হচ্ছে সেখানেই বানানো যায়।